একজন আদর্শ শিক্ষক সঠিক পথের দিশারী, পথ পরিদর্শক এবং আলোর পথের পথ প্রদর্শক। তাঁর দূরদর্শীতা, আকর্ষণীয় সুন্দর ব্যক্তিত্ব, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, মূল্যবোধ, চৌকষ ও কৌশলী ভূমিকা শিক্ষার্থীর শিখন প্রক্রিয়ায়, জ্ঞান অন্বেষণে, মেধার বিকাশ ও উন্নয়নে, চরিত্র গঠনে এক যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।
একজন নীতিবান ও বিবেকবান আদর্শ শিক্ষকের ছোঁয়ায় যেমনটি শিক্ষার্থীর মানসম্মত সুশিক্ষা সুনিশ্চিত হয় তেমনি শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণাবলী, মানসিক উৎকর্ষ সাধন এবং মননের সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
আদর্শ শিক্ষকের কথা ও কাজের মধ্যে থাকে এক অপূর্ব মেলবন্ধন সমীকরণ। তাঁর আচার-ব্যবহার শিক্ষার্থীদের আদর্শবোধে উজ্জীবিত ও উদ্বুদ্ধ করে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে সাহস সঞ্চার হয় এবং শিক্ষার্থীরা চরম ও পরমভাবে অনুপ্রাণিত হয়। সর্বোপরি, আদর্শ শিক্ষকের সীমাহীন উৎসাহ পেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সব ভয়কে জয় করে সাফল্যের চূড়ায় উঠতে পারে এবং নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আদর্শ শিক্ষকের মৌলিক মানবীয় গুণাবলী, অনুপম চারিত্রিক মাধুর্য, বুদ্ধিদীপ্ত উচ্চ নৈতিকতাসম্পন্ন জ্ঞান, সহযোগিতার মনোভাব, কর্তব্যনিষ্ঠা ও চিত্তাকর্ষক ব্যক্তিত্ব শিক্ষার্থীর মনে দাগ কাটে। যার ফলে শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষকের আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়। ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যকার এই সম্পর্ক এক অনাবিল, আদর্শিক ও যুগপৎ সম্পর্ক।
যেখানে মৌলিক কোন চাওয়া-পাওয়ার বিষয় সংযুক্ত থাকেনা, থাকে পরস্পরের প্রতি এক অকৃত্রিম ভালোবাসা ও অবিরাম শুভকামনা।
পরিশেষে, সকল আদর্শ শিক্ষকমন্ডলীর প্রতি রইল সশ্রদ্ধ সালাম, বিনম্র শ্রদ্ধা ও নিরন্তর ভালোবাসা।
ধন্যবাদান্তে
রাকিব মজুমদার
সিনিয়র প্রভাষক,
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, ঢাকা।